মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

২৫ অবৈধ স্ট্যান্ডে অচল নারায়ণগঞ্জ শহর

রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ

২৫ অবৈধ স্ট্যান্ডে অচল নারায়ণগঞ্জ শহর

নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ মোড় থেকে চাষাঢ়া মোড় হয়ে খানপুর মেট্রো হল। মাত্র আড়াই থেকে ৩ কিলোমিটার এলাকা জেলা মূল শহর। এতটুকু শহরের মধ্যে সড়কের মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ২৫টি অবৈধ বিভিন্ন পরিবহন স্ট্যান্ড। মোড়ে মোড়ে এ অবৈধ স্ট্যান্ড যেন অঘোষিত বৈধতা পেয়ে গেছে। পুরো শহর যেন এ অবৈধ স্ট্যান্ডের দাপটে অচল হয়ে পড়েছে। জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শহরের প্রবেশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে শেষ প্রান্ত টানবাজার বা মণ্ডলপাড়া। পূর্ব দিকে খানপুর থেকে চাষাঢ়া মহিলা কলেজ রোড এসব সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জটলা বেঁধে ওইসব স্ট্যান্ডে থাকা পরিবহনগুলো। পুরো শহরটির আড়াই কিলোমিটার রিকশায় ঘুরলে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিটের কম। সেখানে এই আড়াই কিলোমিটার রিকশায় ঘুরতে সময় লাগে দুই ঘণ্টারও বেশি। মূল কারণ এ অবৈধ স্ট্যান্ড। অভিযোগ রয়েছে দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের আশ্রয়ে আড়াই কিলোমিটারের এ ২৫টি অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে দিনে চাঁদা তোলা হয় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। এসব চাঁদা উত্তোলনের জন্য রয়েছে লাইনম্যান। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের নিতাইগঞ্জের মোড়ে ও ২ নম্বর রেলগেটে অটোরিকশা ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ডায়মন্ড হলের সামনে ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে সিএনজি অটোরিকশা ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ডিআইটি গুলশান হলের সামনে অটোরিকশার স্ট্যান্ড, মর্গান স্কুলের সামনে ও গলাচিপা মোড়ে অটোরিকশা ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ১ নম্বর রেলগেটে বাস ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড উল্লেখযোগ্য।

 কালীরবাজারে ইজিবাইক ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড, চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, খাঁজা মার্কেটের পেছনে লেগুনা স্ট্যান্ড, চাষাঢ়া চত্বর সুগন্ধা বেকারির সামনে লেগুনা ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড, শহীদ মিনারের সামনে ও তার পাশে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। রাইফেলস ক্লাবের সামনে লেগুনা, অটোরিকশা ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড, সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, চাষাঢ়া রেলস্টেশনের সামনে ও শিমরাইল মোড়ে সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড, খানপুর মেট্রো হলের সামনে বাস ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড। সংশ্লিষ্টরা জানায়, এ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে ডজনখানেকবার ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে। আলোচনার ফল দুয়েক দিন উচ্ছেদ কার্যক্রম চলে। কিন্তু আবার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ওই সব স্থানে ফের শুরু হয় অবৈধ স্ট্যান্ড কার্যক্রম। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ গতকাল দুপুরে জানান, অবৈধ স্ট্যান্ডগুলো পুরো শহরটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়েছে। সিটি করপোরেশন যদি আমাদের জানায় তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার গতকাল দুপুরে জানান, আমরা প্রতিদিন এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে জরিমানা করছি। প্রতিদিনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু আবারও তারা বসে যাচ্ছে একই স্থানে।

সর্বশেষ খবর