বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুরুষাঙ্গ কেটে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ইসলাম (৩৮)। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরশাদুল ইসলাম কিচক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আহত অবস্থায় এরশাদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন আমি জামিনে বের হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেছেন রুবেলের স্ত্রী ও তার ভাই আবদুর রহীম। নিহতের ভাই শাহীন মিয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া জানান, আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করেছিল। সেই ঘটনায় থানায় মামলা হলে সে কারাগারে ছিল। কিছু দিন আগে জামিনে বের হয়ে আবারও আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে গেলে এরশাদুল বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরে। এ সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় এরশাদ। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আবার বাড়ি এসে স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করে। আমার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে এরশাদের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। এরপর পুলিশ এসে আমার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে গেছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা থানায় আসলে মামলা করা হবে।
