রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

একটি ফেরিতে কমবে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

একটি ফেরিতে কমবে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

জেলার সঙ্গে একমাত্র বিছিন্ন উপজেলা খালিয়াজুরী। হাওরাঞ্চলের মধ্যেও আলাদা দ্বীপের মতো। বর্ষাকালে হাওরাঞ্চলের অন্যান্য উপজেলাগুলো অর্ধেক বা বেশি অর্ধেক পানিতে তলিয়ে থাকলেও খালিয়াজুরী পুরো উপজেলা দ্বীপের মতো ভেসে থাকে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে নৌযানে চলাচল করতে হয়। হেমন্তকালে পুরো শুকনো মওসুমেও বিছিন্ন থাকে ধনু নদীর কারণে। জেলা শহর বা অন্যান্য উপজেলাই নয়, উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন ও বেশকটি গ্রাম থাকে নদীর জন্য যোগযোগ বিছিন্ন থাকে। ফলে দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হয় উপজেলাবাসীকে। ৫৫ কিলোমিটার সড়কের ১৯ কিলোমিটার পাকা সাবমার্সিবল থাকলেও নদী পারাপারে ভোগান্তি চরমে। রোগী নিয়ে বেশি ভোগান্তি হয়। নদীর এ পারে রসুলপুরে এসে যানবাহান বদলাতে হয়। শুধু রোগীই নয় সব প্রকার জিনিসপত্র সবজিসহ মানুষের আনাগোনার প্রধান মাধ্যম ইঞ্জিন চালিত নৌকা। নৌকা পারাপারে ঘটে নানা দুর্ঘটনাও ঘটে। তবে সড়ক বিভাগের ফেরি চালু হলে লাখো মানুষের অর্ধেক দুর্ভোগ কমে আসবে বলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, শুধু খালিয়াজুরীই নয় পার্শ^বর্তী সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের ভৈরবসহ প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলেন এই হাওর সীমান্ত দিয়ে। অনেক রোগীকে মদন বা মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলা সদরে বা ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার আগেই প্রাণ চলে যায়। নৌকার মাঝি নুরুজ্জামান জানান, জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ মাসের জন্য ১৩ লাখ টাকায় ঘাট ইজারা নেন। কম টাকাতেই পার করেন সবাইকে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ পার হন। এদিকে হোন্ডাচালক হিরা মিয়াসহ পারাপার যাত্রীরা বলেন, তারা প্রতিজনে ৫ টাকা করে রাখলেও মোটরসাইকেল পারাপারে রাখা হয় প্রতিবার ২০ থেকে ৩০ টাকা। রয়েছে পণ্য পারাপারও। তবে ফেরি চললে সরাসরি এম্বুলেন্সসহ অটোরিকশা পার হতে পারবে। এতে সময় নষ্ট কম হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিমুক্ত হবে মানুষ। কিন্তু গত দুবছর ধরে ফেরির অপেক্ষা করছে। সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার খান শরীফ জানান, এই নদীতে ভবিষ্যতে সেতু বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং সরাসরি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়ন ঘটাতে হচ্ছে ফেরি চলাচলের কার্যক্রম।

এ মাসের মাঝামাঝিই চালু করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর