ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনের সেতুর মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় আকারের গর্ত। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্বজন ও সাধারণ মানুষ। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভেঙে পড়া স্থানে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশেই ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান। মহাসড়ক থেকে হাসপাতালের প্রবেশপথেই রয়েছে সেতু। এ সেতুর ওপর দিয়েই চিকিৎসক, রোগী ও এলাকাবাসী যাতায়াত করেন। স্থানীয়রা জানান, ৫১ শয্যার ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসেন। এ ছাড়া ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা অংশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেক রোগীকে এ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছাতে পার হতে হয় এ সেতু। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতু নিয়ে আশঙ্কাও বেশি। হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা অটোচালক সিদ্দিক শেখ বলেন, আমি একবার রোগীসহ গর্তে পড়ে যাচ্ছিলাম। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক বাবুল খান জানান, ফটকের সামনের সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় খুব সতর্কতার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এখান দিয়ে যেতে হয়। নতুন চালকরা যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। সেতুর পাশেই ওষুধের ব্যবসা করেন মাহিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বুধবার এ সেতুর মাঝখানে ফাটল দেখা যায়। তারপর বেশ কিছু অংশ গত দুই দিনে ভেঙে যায়। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, সেতুর মাঝখান ধসে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আমি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রশিক্ষণে ঢাকায় আছি। এলাকায় এসে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।