সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মুখ থুবড়ে পড়েছে ইছামতী খনন

পাবনা প্রতিনিধি

মুখ থুবড়ে পড়েছে ইছামতী খনন

পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইছামতী নদী মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অসম্পূর্ণ খননে আগের অবস্থায়ই রয়ে গেছে। ইছামতী খননের কাজ শেষ না করেই চলে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদীর খনন করা এলাকায় পলি জমে ও ময়লা-আবর্জনা পড়ে আগের অবস্থা ফিরে পেয়েছে, এমনকি দুই পাড়ের দখলদার উচ্ছেদ ও খননকাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ফলে অর্ধেক কাজ শেষ না হতেই মুখথুবড়ে পড়েছে ইছামতী খনন ও উচ্ছেদ অভিযান। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুখথুবড়ে পড়েছে ইছামতী নদী খনন প্রকল্প, দাবি পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের। পাউবো পাবনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খননের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর দুই পাড়ের ৫ দশমিক ৬৭ কিলোমিটারে দখলদার উচ্ছেদ এবং ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার নদী খননের দুটি পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। খনন প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। অন্যদিকে উচ্ছেদ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে পাউবো ১ হাজার ৫৩টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে ৬১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে গেলে স্থবিরতা নেমে আসে খনন কাজেও। মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় ঠিকাদার রুহুল আমিন বলেন, মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক লিয়াকত আলী। স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমি কাজ করেছি। পাউবো সঠিকভাবে খনন এলাকা বুঝিয়ে দিতে পারেনি। এ ছাড়া বারবার কাজ পেছানোয় সময়মতো কাজ করা সম্ভব হয়নি। আর যখন প্রকল্পের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখন ব্যয় ছিল এক রকম। পরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। এর ফলে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন। পাউবোর সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর থেকে ৭০ জনের বেশি দখলদার জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত বিভিন্ন মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে আইনি লড়াই চলছে।

সর্বশেষ খবর