সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চার লেন কাজের ঠিকাদার লাপাত্তা!

হিলি প্রতিনিধি

চার লেন কাজের ঠিকাদার লাপাত্তা!

হিলিতে চার লেন কাজের ঠিকাদার লাপাত্তা। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় চার মাস বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় মাঝে মধ্যেই ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সড়কের ধুলার কারণে চরম ভোগান্তিতে চলাচলকারী মানুষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারো কাজ শুরু হবে- দাবি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তবে বিল না পাওয়ার কারণে কাজ করতে পারছেন না বলে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় গত অক্টোবরে। জিরো পয়েন্ট থেকে পানামা ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কাজ পায় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিয়ারিং (এন ডি ই) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কের পিচ ঢালা উপরের অংশ তুলে ফেলাসহ ভেঙে ফেলা হয় দুই পাশের স্থাপনা। এরপর সড়কের একপাশে ঢালাই কাজ শুরু করে এভাবে দু-এক সপ্তাহ কাজ করার পরই সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারপর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে সড়কের উন্নয়ন কাজ। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ এলাকাবাসী। একইভাবে ভাঙাচোরা সড়কের কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলোকে। ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি। বেকায়দায় পড়েছেন সড়কের পাশের দোকানিরা। চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে এই সড়কটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও চার ভাগের একভাগ এখনো হয়নি। তাই কাজ শেষ হওয়া নিয়ে যেমন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয়রা তেমনি কবে দুর্ভোগ লাঘব হবে সেই চিন্তাও তাদের। শহীদ খান বলেন, রাস্তার কাজ করার জন্য পাকা রাস্তা খুঁড়ে সড়কে মাটি ফেলে রেখেছে। এর পর থেকেই ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছেন। ভ্যানচালক আবদুল খালেক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা থাকার পর রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম রাস্তা ভালো হবে আমাদেরও কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু কাজ শুরুর কয়েকদিনের মাথায় আবারো বন্ধ হয়ে গেল।  স্থানীয় দোকানি মনিরুল ইসলাম বলেন, আগে যে রাস্তা ছিল সামান্য ভাঙাচোরা থাকলেও সেটিই ভালো ছিল। এ রাস্তা দিয়ে ভারতীয় ও বাংলাদেশি ট্রাক চলাচল করছে যার কারণে পরিমাণে ধুলা উড়ছে। ধুলার কারণে দোকানের পান, সুপারি বিস্কুট সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তেমনি ক্রেতারাও আসতে চান না দোকানে।

 

সর্বশেষ খবর