সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরগুনায় জেলেদের নিরাপত্তায় নৌযানে বসানো হচ্ছে জিএসএম ডিভাইস

বরগুনা প্রতিনিধি

গভীর বঙ্গোপসাগর মাছ ধরায় ব্যবহৃত যান্ত্রিক নৌযানে জেলেদের দুর্যোগ, জলদস্যুদের কবল থেকে নিরাপত্তা এবং বহিরাগত জেলেদের প্রবেশ বন্ধে সরকারের সার্টেন এবেল কোস্টাল অ্যান্ড  মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় বসানো হচ্ছে মনিটরিং কন্টোল অ্যান্ড সার্ভিলেন্স। ডিভাইস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারের অবস্থান এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে, কোস্টগার্ড এবং মৎস্য বিভাগ। জেলা ও উপজেলা থেকেও সার্বক্ষণিক তদারকি করা যাবে। বরিশাল বিভাগের বঙ্গোপসাগরগামী ৩ হাজার ৯০০ ফিশিং ট্রলারে এ ডিভাইস বসানো হচ্ছে। বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিশ্বজিৎ দে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের গভীর বঙ্গোপসাগরগামী ফিশিং ট্রলারের মালিক ও জেলেদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল তাদের জলদস্যু এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থেকে নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বরগুনা জেলায় ৭৬৭টি ফিশিং ট্রলারে এ সফটওয়্যার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বিশ্বজিৎ দে বলেন, এ ডিভাইস বসানোর ফলে ৬০-৭০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত ট্রলারের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করা যাবে। বরগুনা সদর উপজেলার ২৩৩ আমতলী উপজেলার ৪৯, তালতলী উপজেলার ১৫২ এবং পাথরঘাটা উপজেলার ৩৩৩টি গভীর বঙ্গোপসাগরগামী ফিশিং ট্রারে ডিভাইস বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এ বছরের জুন মাসের মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার পর এর কার্যক্রম শুরু হবে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর সাগরে ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে যেতে হচ্ছে জেলেদের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয় জলদস্যুদের হামলার। তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারে ডিভাইস বসানোর প্রকল্প সঠিকভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে তদারকি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে এ প্রকল্ক কার্যকর হবে।

সর্বশেষ খবর