মাদারীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় নারীসহ ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের থানতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আহতরা হলেন- মোশাররফ হোসেনের ছেলে শাহাজউদদীন (২৭), রফিক হাওলাদারের ছেলে জাবেদ হাওলাদার (২২), আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মাহবুব (৩৫), কাজী শিপনের ছেলে সিফাত (৩০), আকতার খানের ছেলে রিয়াদ খান (২৮), জাহাঙ্গীর খানের ছেলে রনি খান (২৩), রহিম হোসেনের ছেলে বকুল (৫০), হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সালেহা (৫০), ফিরোজ বেপারির মেয়ে নাদিয়া (১৮), আখতার খানের স্ত্রী রেবা খান (৫০)সহ ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, থানতলীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিল কিছু বখাটে ছেলেরা। পরে সালেহা বেগম তাদের রোজার দিনে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন। এতে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। সেখান থেকে চলে গিয়ে কিছুক্ষণ পরে দেশি অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে হামলা করে ওই বাড়িতে। এখানে ২০-৩০ যুবক অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অনেকের গুরুতর জখম করে।

এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতরা জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এদের বিচার চাই। সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বজলুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার দিকে ১০ রোগী শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সদর থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।