সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

শ্রীমঙ্গলে ধানে ব্লাস্ট রোগ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। এতে ফসলের মাঠে ধান চিটা হয়ে গেছে। এ ব্রি-২৮ ধান চাষ করে এখন বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক নষ্ট হওয়া এ ধান গরুর জন্য কেটে নিচ্ছেন, অনেকে জমিতেই ফেলে রেখেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ না করতে কৃষকদের বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক কৃষক দোকান থেকে বীজ কিনে নিয়ে এ ধান চাষ করেছেন। জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ ধান আবাদ হয়েছে ২৬৫১ হেক্টর জমিতে। এর মধ্য উপজেলার ইছবপুর, নোয়াগাঁও, রাজাপুর, উত্তর ভাড়াউড়া, সিরজনগর, লামুয়া ও কালাপুর গ্রামে ব্রি-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। এসব গ্রামে মাঠের ধান চিটা হয়ে গেছে।  লামুয়া গ্রামের কৃষক আবদুল মজির বলেন, তিনি দোকান থেকে ব্রি-২৮ ধানের বীজ কিনে ১ বিঘা জমি চাষ করে ছিলেন। এখন ধান চিটা হয়ে গেছে। তার জমিতে খরচ হয়েছিল ৪-৫ হাজার টাকা। কৃষক ইউছুপ মিয়া বলেন, তিনি হাওরে ১৫ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেন। যখন পাকা শুরু করে তখন দেখা যায়, জমির সব ধান চিটা।

নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক অঞ্জু কর বলেন, নিজের জমি নেই। ৭ বিঘা জমি বর্গাচাষ করেছি। আমার সবই শেষ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্মা বলেন, আমাদের মাঠ থেকে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। এক মাস আগেই এ রোগের প্রাদুর্ভার দেখা দিয়েছিল। তখন আমরা কৃষকদের এ থেকে উত্তোরণের পরামর্শ দেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় মাঠ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ব্রি-২৮ অনেক পুরনো একটি জাত। এটি চাষ করতে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে ব্রি-৮৮ ও ৮৯ চাষের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দোকান থেকে বীজ কিনে নিয়ে কিছু কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারের কোনো বরাদ্দ এলে তাদের সহায়তা করা হবে।

সর্বশেষ খবর