সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সাত গ্রামের মুসল্লিরা। শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উপজেলার মুন্সিপাড়ার জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল মাজেদ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি চর, তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট ও একই ইউনিয়নের বোতলা হাতীবান্ধার কাছিমবাজার ও আদিতমারীর দুলালী গ্রামে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সিপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ বলেন, সারা বিশ্বে একই দিন ঈদ হবে। এ বিশ্বাস থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কয়েক বছর ধরে এ এলাকার মানুষ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবেকদর, শবে মিরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবার আমরা সৌদি আরবের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করি। এতে জামাতে ৫ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন জামাতে। তবে গতবার থেকে এবার মুসল্লি কমেছে। কারণ বিভিন্ন স্থানে আরও জামাতের সংখ্যা বেড়েছে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রসুল জানান, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা, তুষভান্ডার ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কিছু মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন। তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা সেখানে টহল দেন।’ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে জেলার ছয়টি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।