বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

শত বছরের অনাবাদি জমিতে বোরো আবাদ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

শত বছরের অনাবাদি জমিতে বোরো আবাদ

গত বছর এই মৌসুমে যে জমিতে ছিল নলখাগড়াসহ বিভিন্ন আগাছার স্তূপ, এবার সেই জমি সোনালি ধানে ভরপুর। শত বছরের অনাবাদি জমিতে কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে করা হয়েছে বোরো আবাদ। আর এই অনাবাদি জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।  গত বছর এ উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এ বছর  ২৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে। এই  জমিই শত বছর ধরে অনাবাদি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি এ জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে গতকাল ওই ৯৫০ হেক্টর জমির ধান আনুষ্ঠানিকভাবে কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ধারাবাশাইল বিলে কৃষক সজল বালার ৬৫ শতাংশ জমির ধান রিপার মেশিন দিয়ে কাটা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায়, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনীন্দ্রনাথ রায়, কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধুসহ এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘এক ইঞ্চি জমিও অনবাদি রাখা যাবে না’। তাঁর সেই নির্দেশ পালনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারের দিকনির্দেশনায় আমরা অনাবাদি জমি আবাদ করার জন্য মাঠে নামি। আমরা এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনতে পেরেছি। আগামীতে বাকি অনাবাদি জমি আবাদে সক্ষম হব। উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় বলেন, শত বছরের এই অনাবাদি জমি আবাদে আনার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে ৩২টি উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হয়েছিল। অনাবাদি জমি ও খালের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আগাছা পরিষ্কার করার জন্য গ্রহণ করা হয়েছিল নানা পদক্ষেপ।

সর্বশেষ খবর