শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

কাউনিয়া উপজেলায় মরা তিস্তা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকো -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রাণনাথ চর গ্রামে খলিলের ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ আট গ্রামের মানুষ যাতায়াত করছেন। ওই স্থানে নির্বাচনের আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি, মন্ত্রী পাকা ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাকা ব্রিজ নির্মাণে কোনো জনপ্রতিনিধিই কথা রাখেননি।  জানা গেছে, হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে খলিলের ঘাট নামক স্থানে পাকা ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর। ওই স্থানে ব্রিজ না থাকায় চর নাজিরদহ, পল্লীমারী, চাংরা, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, পাগলার হাট, দয়ালবাজার, বুদ্ধিরবাজার, মাস্টারবাজার, প্রণনাথ চর ও সাব্দী গ্রামের স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধলাখ মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে যাতায়াত করেন। ওই এলাকাগুলো শষ্য ভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত। গ্রামগুলোতে ব্যাপক হারে আলু, ভুট্টা, ধান, পাট, রসুন, মরিচ, পিঁয়াজ, বাদাম, খিরা, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে।  এসব কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিতে হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তকিপল হাট, সাত কিলোমিটার ঘুরে খানসামা হাট ও ১২ কিলোমিটার ঘুরে মীরবাগ হাটে যেতে হয়। অথচ খলিলের ঘাটে পাকা  সেতু নির্মাণ হলে রাস্তা অর্ধেক কমে আসবে। বর্তমানে এসব এলাকার মানুষের শুষ্ক মৌসুমে ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো, বর্ষায় নৌকা। চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন বলেন, এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এ কথা বহুদিন ধরে শুনে আসছি, কিন্তু ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে কোনো জনপ্রতিনিধিই কথা রাখেননি। কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি বলেন, খলিলের ঘাটে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব একাধিকবার পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর