মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

লোকবলের বিস্তর ফারাক নিয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

লোকবলের বিস্তর ফারাক নিয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও কোনো ধরনের উন্নতি ঘটেনি স্বাস্থ্যসেবায়। ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যার জনবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে। প্যাথলজি বিভাগ বলতে কিছু নেই হাসপাতালটিতে। অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এক্স-রে মেশিনও। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২২ লাখ টাকার দ্রুতগতি সম্পন্ন নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি নদীর চরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারণে পরিণত হয়েছে ভাঙ্গারি পণ্যে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনবল ও প্রয়োজনীয় মালামাল বাড়ানো হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, শিশু, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্টসহ ৪১টি পদের মধ্যে ২৩টি পদ শূন্য বছরের পর বছর। অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ না থাকায় অপারেশন কার্যক্রম কখনোই আলোর মুখ দেখেনি এখনে। সে কারণে অপারেশন থিয়েটারের অনেক মালামাল অকেজো হওয়ার পথে। প্রতি বছর এ হাসপাতালে ২৫-২৮ লাখ টাকার ওষুধ সরবরাহ করে থাকেন কর্তৃপক্ষ। সেসব ওষুধ রাখার উপযোগী স্টোর রুম না থাকায় তা রাখা হচ্ছে কর্মচারীদের পরিত্যক্ত আবাসিক ভবনে। ১৫ বছরের অধিক সময় প্যাথলজিস্ট নেই। ফলে হাসপাতালে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারছেন না রোগীরা। এক্স-রে টেকনিশিয়ান থাকলেও মেশিন পড়ে আছে অকোজে অবস্থায়। প্যাথলজির এ সংকটের কারণে হাসপাতালের গা ঘেষে কয়েকটি প্যাথলজি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানেই নেই ডিপ্লোমাধারি প্যাথলজিস্ট। মোবাইল কোর্টের খবরে ওইসব প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েন কথিত প্যাথলজিস্টরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুমূূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে দ্রুত স্থানান্তরের জন্য উচ্চ শক্তিসম্পন্ন একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স এ হাসপাতালে দিয়েছেন। যা এক দিনের জন্য কোনো রোগীর সেবায় লাগানো যায়নি। দুই বছরের অধিক সময় ধরে এটি নদীর চরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অবহেলায় ভাঙ্গারি পণ্যে পরিণত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেই নৌ অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের দেওয়া খাবার নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। কোনো প্রকার তদারকি না থাকায় নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৫০ গ্রাম ওজনের মাছের সঙ্গে দেওয়া হয় এক টুকরা আলু। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাদেরুজ্জামান আকাশ বলেন, জনবল সংকটের কারণে অপারেশন, পাথলজি বহু বছর ধরে বন্ধ আছে। এক্স-রে মেশিন অকেজো। ২৩ জন কর্মকর্তার পদ শূন্য।

সর্বশেষ খবর