ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে বিজয়নগরের চান্দুরা পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার আখাউড়া উপজেলা। সড়কটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় মিলিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে আখাউড়া এবং বিজয়নগর উপজেলাসহ জেলা শহরের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। প্রতিদিন শত শত সিএনজি, অটোরিকশা, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে সড়ক দিয়ে। এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এবং আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাতায়াত করে শত শত ট্রেনযাত্রী। এ সড়কের আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার থেকে উত্তরে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ছোট বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। খানা-খন্দ আর গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়। গর্তে পরে ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন সড়কটির মেরামত না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অসুস্থ রোগী এবং নারী-শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। রাস্তাটির দ্রুত মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর। জানা গেছে, আখাউড়ার উত্তর ইউনিয়নসহ বিজয়নগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রী সিএনজি, অটোরিকশায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা চিকিৎসাসহ অন্য কাজে জেলা সদরে আসা যাওয়া করে এ সড়ক দিয়ে। রাস্তায় খানাখন্দ আর গর্তের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। গর্তে পড়ে গাড়ির রিং, বিয়ারিংসহ যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, সড়ক বাজার থেকে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত অন্তত ২৫ স্থানে কয়েক শ ছোট বড় গর্ত। সড়ক বাজার থেকে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। আখাউড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়কটি মেরামতের জন্য পরিমাপ ও ব্যয়ের হিসাব করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, সড়কটির কাজের পরিমাপ করে এলজিইডি ভবনে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, কিছু দিনের মধ্যে অনুমোদন হয়ে আসবে। তারপর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে দরপত্র আহ্বান করা হবে।