ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের নলকূপে মিলছে না পানি। প্রয়োজন মেটাতে অনেকেই কুয়ার পানি ব্যবহার শুরু করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই সেখানেও একই অবস্থা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামগুলোর কয়েক হাজার পরিবার। আর পানির স্তরসহ সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, সালন্দর, শুখানপুকুরী, আকচা ও গড়েয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পানি সংকট। এসব ইউনিয়নের কিছু গ্রামে এ সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রামবাসী জানায়, সংকট মোকাবিলায় গ্রামের মানুষ মাটি খুঁড়ে স্লাব বসিয়ে কুয়া তৈরি করেছেন। কিন্তু এসব কুয়াতেও পর্যাপ্ত পানি মিলছে না। তিন থেকে চার মাস ধরে এ সংকট চলছে। পানি সংকট নিরসনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারকে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। আকচা ইউনিয়নের নিমবাড়ী গ্রামের বাবুল চন্দ্র বলেন, পানির অপর নাম জীবন, কিন্তু এই পানিই এখন আমাদের কাছে সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। এক জগ পানির জন্য এর বাড়ি, ওর বাড়ি ছুটতে হচ্ছে। তারপরও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ভোগান্তির কথা বুঝানোর মতো না। খুব কষ্ট করে আমাদের দিন যাচ্ছে। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খোচাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, টিউবওয়েলে পানি উঠছে না দেখে মাটি খুঁড়ে স্লাব বসিয়ে কুয়া তৈরি করেছি। কিন্তু সেই কুয়াতেও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ঠাকুরগাঁও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়হান আলী বলেন, অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে পুকুর, খাল-বিল ও নদ-নদী শুকিয়ে গেছে। এ ছাড়া পুকুর ভরাট ও নদী ছোট হয়ে আসায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ওইসব এলাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি সায়হান আলীর।