শনিবার, ২০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে গ্রাহকের ১ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন সমিতির সভাপতিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার জয়নগর শিমুলতলা মোড়ের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে দুই ও এক বছর মেয়াদি এ সমিতি গঠন করেছিলেন। সমিতির মালিক সহাদেব কর্মকার উপজেলার মানিকনগর গ্রামের গুরুপদ কর্মকারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সহাদেব ‘বন্ধন বাণিজ্যিক সঞ্চয় সমিতি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ২০০-৩০০ জন সদস্য করেন। সমিতিতে দুই বছরে ১ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়। চয়ন নামে একজন গ্রাহক বলেন, সহাদেব কর্মকারকে ১৪ মে থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। পরিবারের লোকজন বলছেন, তিনি কোথায় আছেন কেউ জানেন না। সমিতির সদস্যদের অনেকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় লভ্যাংশসহ সঞ্চয়ের টাকার ফেরতের জন্য সহাদেবকে চাপ দিচ্ছিলেন। তিনি ফেরত দেওয়ার নামে এক মাস ধরে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। ১৪ মে কিছু সদস্যের সঞ্চয়ের টাকা দিতেও চেয়েছিলেন। এখন আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আরেক সদস্য সরকার মিন্টু জানান, তিনি ৮২ হাজার টাকা রেখেছেন। তার মেয়াদ পূর্ণ হলে সঞ্চয় ও লভ্যাংশ একাধিকবার ফেরত চেয়েও পাননি। অপর সদস্য গ্রাম্য চিকিৎসক কমল জানান, তার দেড় লাখ টাকা জমা রয়েছে। সব গ্রাহকের টাকা মিলে কোটি ছাড়াবে।

স্থানীয় সলিমপুর ইউপি সদস্য আসাদুল হক আশা বলেন, সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে সহাদেবের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। টাকার পরিমাণ কত তা জানি না। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবুও খোঁজখবর নিয়ে দেখব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বন্ধন বাণিজ্যিক সমিতি নামে কোনো সঞ্চয় সমিতির নিবন্ধন নেই। অবৈধভাবে এ সমিতি গঠন করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর