বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বুড়িমারীতে শ্রমিক অসন্তোষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রায়ই দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমিক-মালিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

সবশেষ গতকাল বন্দরে শ্রমিক লীগের সাইনবোর্ড ভাঙচুর নিয়ে শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। শ্রমিকরা লোড-আনলোড বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান। এর আগে গতকাল সকালে সন্ধ্যায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিক সংগঠন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, এখানে বন্দর প্রতিষ্ঠার পর বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গঠন হয়। ২৪ জন সর্দার এ সংগঠন পরিচালনা করেন। কয়েক মাস ধরে সংগঠনের সর্দারদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

সংগঠনের নির্বাচন না দিয়ে নিয়ন্ত্রণ, ন্যায্য মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ করে আসছেন সাধারণ শ্রমিকরা।

এসব ঘটনায় শ্রমিকরা গত ৪ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট করেন। মার্চ মাসে বুড়িমারী বন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সমিতি নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়। এতে আগের কমিটির সর্দাররা ক্ষুব্দ হয়ে সাধারণ শ্রমিকদের হুমকি দেন। হুমকির বিচার দাবিতে ২১ ও ২২ মার্চ ধর্মঘট পালন করা হয়। সাধারণ শ্রমিকরা বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ বুড়িমারী স্থলবন্দর শাখার অনুমোদিত কমিটির সাইনবোর্ড ২৭ মে সকালে বন্দরের সিরিয়াল কার্যালয়ের পাশে টানান। ২৯ মে সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। রাতে পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মুত্তালিব ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে অবরোধ তুলে নেন তারা। গতকাল আবারও সাইনবোর্ড টানানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ দিন দুপুর ১২টায় একই স্থানে সাইনবোর্ড টানানোর পর কাজে ফেরেন শ্রমিকরা। বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান হোসেন রাজু বলেন, সর্দারদের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা আমাদের সংগঠনের সাইনবোর্ড ভেঙেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি ছফর উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো ইন্ধন দেইনি। তাদের দুই সংগঠনের মধ্যে থেকে কোনো পক্ষ এ কাজ করেছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ বলেন, এভাবে বারবার ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধ করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বন্দরের ব্যবসার প্রসার ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সবার সম্মলিত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ উল্লাহ।

 

সর্বশেষ খবর