আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য রাসেল, মামুন, মোহাম্মদ আলী, বাদশা ও হাবিব ওরফে রিপন। তারা সবাই স্বজন। মামুন ও মোহাম্মদ আলী আপন ভাই। বাদশা তাদের ভগ্নিপতি। রিপন ও রাসেল আপন খালাতো ভাই। তারা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করেন। শুধু ডাকাতি নয়; নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩টি মামলা। পুলিশের অভিযানে মাঝে মধ্যে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক গলিয়ে কিছুদিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আর সক্রিয় হয়ে ওঠে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাঞ্চল্যকর একটি ডাকাতির ঘটনায় দলের একাধিক সদস্য গ্রেফতারের পর পুলিশ এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর নাঙ্গলকোটে ভাইয়া গ্রুপের মালিকানাধীন ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির পরিবেশক মেসার্স মমিন স্টোরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ডাকাতরা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পর দিন মের্সাস মমিন স্টোরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে গিয়ে মূল গেটের তালা ভাঙা দেখে নিরাপত্তা প্রহরী সুলতানকে ডাকেন। কোনো শব্দ না পেয়ে ভিতরে ঢুকে ডাকাতির আলামত দেখতে পান। ডাকাতরা ওই প্রতিষ্ঠানের ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৭ টাকার বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে। ওই দিনই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনের নামে থানায় ডাকাতি মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার চরমটুয়া গ্রামের জহির আহম্মদের ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ থেকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মতে মোহাম্মদ আলী ও রাসেলকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ। জানা যায়, আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য মামুন, মোহাম্মদ আলী, বাদশা, হাবিব ওরফে রিপন ও রাসেল দোকান, গুদাম এবং জুয়েলার্সে ডাকাতির কাজে পারদর্শী। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় তাদের সোর্স ও চক্রের সদস্য রয়েছে। যারা তাদের ডাকাতির কাজে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন জানান, ডাকাতিসহ যে কোনো অপরাধ রোধে পুলিশ প্রশাসন রয়েছে।