রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধসে পড়া রাস্তায় জনদুর্ভোগ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ধসে পড়া রাস্তায় জনদুর্ভোগ

ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটি কয়েকবার সংস্কার করার পরও আবার ধসে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। ৫০০ মিটার এ কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে ঘুরতে হয় অন্তত তিন কিলোমিটার পথ। সালথা ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী মৌখালি ব্রিজ হতে বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫০০ মিটার যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা রাস্তা এটি। এ রাস্তার পাশে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি বাজার। এ ছাড়া এই রাস্তা দিয়ে এলাকার সবচেয়ে বড় পিঁয়াজের হাট পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারীর চিতার বাজারে যেতে হয়। তাই এ রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের অন্তত ১৫ ফুট কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে। এতে স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী হেঁটে যাতায়াত করতে পারলেও রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় ফসল কেনা-বেচা করতে হচ্ছে অন্তত তিন কিলোমিটার ঘুরে বোয়ালমারীর চিতার বাজারে যেয়ে। এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দুরূহ হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাদা-পানি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পাওে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই সড়কে এখন পর্যন্ত ইটের ছোঁয়া লাগেনি। কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছেন। এটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেও কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভ্যানচালক হেদায়েত বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। প্রতিদিন এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। রাস্তায় গর্তের কারণে ভ্যান ও ভারী মালামাল নিয়ে চলাচলের খুবই সমস্যা হচ্ছে। এলাকার সবচেয়ে বড় পিঁয়াজের হাট চিতার বাজারে যেতে হয় প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে। এতে সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া যাতায়াত খরচও বেশি হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও পাকা করার দাবি জানাই। বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তপন দাস বলেন, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন না চলার কারণে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়।

অনেক সময় আমরা সময় মতো স্কুলে আসতে পারি না। আটঘর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাসুদুর রহমান বলেন, দুই উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে বৃষ্টির পানির চাপে বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেন গেটের সামনে বড় একটি গর্ত হওয়ার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থী, যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, রাস্তাটিতে মাটির কাজ করা হয়েছে। নদীপাড়ের রাস্তা হওয়ায় বৃষ্টিতে বার বার ভেঙে যায়। পুনরায় সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর