দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় আমের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে কাজ করছে চুয়াডাঙ্গার একটি এগ্রো ফার্ম। এখানে অন্তত ৩৫ প্রজাতির আমের জাত রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন আধুনিক কৃষি নিয়ে কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় দর্শনা হঠাৎপাড়ায় গড়ে তোলেন গৌরমতি এগ্রো ফার্ম। তার মাধ্যমে জনপ্রিয় এসব আমের চারা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙবেরঙের আম। সুস্বাদু এসব আম দেখতে প্রতিদিনই আধুনিক কৃষিপ্রেমীরা আসছেন গৌরমতি এগ্রো ফার্মে। সিরাজুল ইসলামের বাগানে বিদেশি আমের মধ্যে রয়েছে কিউজাই, চিয়াংমাই, চোষা আম, ব্রুনাইকিং, মিয়াজাকি, আলফানসো, ব্যানানা আম, কিং অফ চাকাপাত প্রভৃতি। বারোমাসি আমের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, চায়না ড্রপ ও বারি ১১। দেশি আমের মধ্যে রয়েছে গৌরমতি, বারি-৪, হাড়িভাঙা, হিমসাগর, ল্যাংড়া, তোতাপুরি প্রভৃতি। সিরাজুল ইসলামের বাগানের ব্যতিক্রমী এসব আমের গাছ দেখতে ছুটে আসছেন অনেকে। শখের বসে কেউ কেউ সংগ্রহ করছে এসব গাছের চারা। আগতরা বলছেন, একই সঙ্গে এত প্রজাতির ব্যতিক্রমী আমের সংগ্রহ সারা দেশে বিরল। এখানে সহজেই মিলছে দেশি-বিদেশি আমের চারাগাছ। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় গৌরমতি এগ্রো ফার্মে দেশি-বিদেশি আমের বেশ কিছু জাত নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে আম চাষের মাধ্যমে অনেকেই যেমন স্বাবলম্বী হতে পারবেন, পাশাপাশি ভিন্নধর্মী আম চাষ বৃদ্ধি পাবে। সিরাজুল ইসলামের ভালো ভালো সংগ্রহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে দেশি-বিদেশি আমে সমৃদ্ধ হবে আমাদের কৃষি। একই সঙ্গে সহজেই পছন্দের আমের চারাগাছ সংগ্রহ করতে পারবে আমপ্রেমীরা।