রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধ বালু তোলায় নদী ভাঙন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

অবৈধ বালু তোলায় নদী ভাঙন

ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামে ইছামতী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী এলাকায় ইছামতী নদীতে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী এলাকায় ইছামতি নদীতে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। এতে ওই গ্রামের নদীর তীরবর্তী শত শত হেক্টর ফসলি জমি ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ভাঙনের কবলে পড়েছে। আতঙ্কে আছেন এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি অভিযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চৌকিবাড়ী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। এই নদীর নাব্য ফেরাতে গত তিন মাস আগে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়নে ধুনটে চৌকিবাড়ী গ্রামে ভেকু মেশিন দিয়ে নদী খনন ও তীর বেঁধে দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পরই স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ওই নদীতে সাতটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর তলদেশ থেকে পাইপের সাহায্যে বালু তোলা শুরু করেন। অবৈধভাবে তোলা বালু চৌকিবাড়ী পূর্ব নয়াপাড়া ফসলী মাঠে ও চৌকিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রেখে সেখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। বালু তোলার বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ দিন আগে ইউএনও জানে আলম ঘটনাস্থলে যান। চৌকিবাড়ী গ্রামের ভূমি মালিক আদম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছোট্ট এই নদীতে সাত থেকে আটটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর তলদেশ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে কৃষকের শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ধসে যাচ্ছে। চৌকিবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, অবৈধ বালু তোলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আবারও স্থানীয় এমপি হাবিবর রহমানের ছেলে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকনের মাধ্যমে ইউএনও জানে আলমকে বিষয়টি জানাই। এরপরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এতে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। ধুনটের ইউএনও জানে আলম জানান, নদীর ওই স্থান একবার পরিদর্শন করা হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর