লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ী অপু কর্মকারকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সোনা ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বাজুস লক্ষ্মীপুর শাখার সভাপতি হরিহর পালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বণিক সমিতির সহসভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাজুস জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর কর্মকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি শংকর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মিলন মন্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি স্বপন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা ও বাজুস জেলা শাখার সদস্য পরেশ কর্মকার প্রমুখ। এদিকে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার সজীব ও মুনসুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সজীব বরগুনার বামনা থানার খুসনিছড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ও মুনসুর নরসিংদীর মাধবদী থানার বাগবাড়ি এলাকার আজিজুলের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রেফতার দুই আসামি জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার সময় তারা আটজন ছিলেন। লুট হওয়া সোনার মধ্যে প্রায় তিন ভরি উদ্ধার করা গেছে। পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে পিকআপ ভ্যানে একদল ডাকাত এসে ককটেল ফাটিয়ে শহরের আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে আর কে শিল্পালয়ে ঢুকে। তারা মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ২০-২২ ভরি সোনা নিয়ে পালিয়ে যায়।

 এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর ছেলে প্রান্ত কর্মকার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।