বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে গড়ে উঠছে নতুন বসতি, বাড়ছে ধসের ঝুঁকি

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে গড়ে উঠছে নতুন বসতি, বাড়ছে ধসের ঝুঁকি

পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত বসতবাড়ি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠেছে শতাধিক বসতঘর। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবুও নীরব প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, উল্টো পাহাড়বাসীর জন্য পানি, বিদ্যুৎ ও সড়কসহ দেওয়া হচ্ছে নানা সুযোগ-সুবিধা। এতে ক্ষোভ বাড়ছে সচেতন মহলের। রাঙামাটি পৌরসভার তথ্যমতে, শুধু জেলা শহর এলাকায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে- শিমুলতলী, নতুনপাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি, রিজার্ভ, এসপি অফিস-সংলগ্ন এলাকা, শহীদ আবদুল আলী একাডেমি-সংলগ্ন ঢাল, পুলিশ লাইন-সংলগ্ন ঢাল, স্বর্ণটিলা পাহাড়ের ঢাল, রাজমণিপাড়া পাহাড়ের ঢাল, রেডিও স্টেশনের পাশে শিমুলতলী পাহাড়ের ঢাল, লোকনাথ মন্দির পাহাড়ের ঢাল, আনসার ক্যাম্প-সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস-সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, চম্পক নগর পাহাড়ের ঢাল, পাবলিক হেলথ পাহাড়ের ঢাল, আমানতবাগ পাহাড়ের ঢাল, মুজিবনগর পাহাড়ের ঢাল। ২০১৭ সালের ১৩ জুন ওই সব পাহাড়ে ভয়াবহ ধসে প্রাণ হারান ১২০ জন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে শহীদ হন পাঁচ সেনা সদস্য। সে সময় মাটির সঙ্গে মিশে যায় প্রায় ১৭টি পরিবার। প্রতি বছর এ দিনটি স্মরণ করে রাঙামাটিবাসী। যে পাহাড় এক সময় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। সেই পাহাড় এখন জনবসতিতে ভরপুর। পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, আষাঢ় মাস আসন্ন। এর আগেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে পাহাড় ধস। যারা এখনো পাহাড়ের নিচে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত আছে। পাহাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে অব্যাহত আছে মাইকিং। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে ৩১টি স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড আগে থেকে স্থাপন করা আছে। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কিন্তু পাহাড়ে যারা বসবাস করেন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চান না।

 

সর্বশেষ খবর