লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানসহ পর্যাপ্ত জনবল নেই। ফলে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও তা পড়ে আছে অব্যবহৃত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটারে বছরের পর বছর ঝুলছে তালা। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনেরা। কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় তারা রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান এবং জনবল বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে রুমের সামনে ময়লার ভাগাড়। বছরের পর বছর এখানে এক্স-রে হয় না। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্স-রে মেশিন ঠিক থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। একই অবস্থা ইসিজির ক্ষেত্রেও। সেবা নিতে আসা রহিদুল মিয়া জানান, বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। এখানে এক্স-রে হয় না। বাধ্য হয়ে রংপুরে যাচ্ছি। আমরা গরিব মানুষ। রংপুরে চিকিৎসার টাকা কোথায় পাব। কিন্তু উপায় কী? চর সিন্দুনার রাবেয়া বেওয়া বলেন, কিছু হলেই রংপুরে যেতে বলেন এখানকার ডাক্তাররা। তাহলে এখানে হাসপাতাল থেকে আমাদের লাভ কী। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। সব ধরনের যন্ত্রপাতি থাকলেও দক্ষ চিকিৎসকের অভাবে অস্ত্রোপচার ও সিজার হচ্ছে না। এক্স-রে মেশিনটি পাঁচ বছর ধরে বন্ধ। যন্ত্রপাতির অভাবে ১৫ বছরে দাঁতের চিকিৎসা হয়নি। ডাক্তারও নেই এই বিভাগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, জনবল সংকটই ভালো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার প্রধান বাধা। সব বিভাগে জনবল সংকট থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়েতে হচ্ছে। তারপরও সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।