বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হালখাতা করেও ব্যবসায়ীদের পুঁজি সংকট কাটছে না

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

হালখাতা করেও ব্যবসায়ীদের পুঁজি সংকট কাটছে না

ধান, সবজি ও শস্যভান্ডার খ্যাত ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার গ্রামগঞ্জের হাটবাজারগুলোতে দাওয়াত কার্ড বিতরণ শেষে চলছে হালখাতার মহোৎসব। এ অঞ্চলে ফসল কাটার পরপরই শুরু হয় হালখাতা উৎসব। ব্যবসায়ী মহল এখন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বড় বড় ব্যবসায়ী তো আছেনই তাছাড়া প্রতিটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে মুদি দোকানিরাও পাওনা আদায়ে ‘হালখাতা’ আঞ্চলিক ভাষায় পুণ্যাহ নামক বাংলার এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, এখন হালখাতার প্রচলন অনেকটা কমে গেছে। তারপরও নিয়মরক্ষায় এ প্রথা ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছি। পাওনা টাকা আদায়ে করোনার প্রভাবটা এখনো বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত যারা দোকানের হালখাতার আয়োজন শেষ করেছেন তাদের বাকি টাকার দুই ভাগই আদায় হয়নি। তবে এ আয়োজন শেষ করে তাগাদা দিয়ে হলেও বাকি টাকা উত্তোলন কার্যক্রম চলমান থাকবে। গত সপ্তাহজুড়ে উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন মুদি দোকান ও কাঁচামাল আড়তে, ধারা বাজারের বিভিন্ন দোকানে, শাকুয়াই বিলডোরা বাজার, নাগলা বাহির শিমুল বাজার, আলিশা বাজার ও ধুরাইলসহ প্রায় কয়েকটি দোকানে হালখাতায় লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ধারা বাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান জানান, পাওনা আদায়ে সমাগম কম হওয়ার আশঙ্কা তারা আগেই করেছিলেন। তবে ধারণা ছিল, এবার বোর মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় পাওনা আদায়ে সফলতার মুখ দেখবেন। পাওনা অনুযায়ী হালখাতা উৎসবে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। পান আড়তদার আ. রহিম জানান বলেন, এবারও অল্প পরিসরে হালখাতার আয়োজন করেছি বলা যায় নিয়ম রক্ষার জন্য। দেনাদারদের সমাগম নেই বললেই চলে। চাহিদা মাফিক অর্থ না পেলেই ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করে। মূলত ব্যবসা করে মানুষের আয়ের পাল্লাটা ক্রমেই নিম্নমুখীতে অবস্থান করছে। বিলডোরা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী রফিকুল্লাহ মানিক বলেন, ধান কাটার মৌসুমে হালখাতা না দিলে পরবর্তীতে বাকি টাকা ঘরে ফেরা দুষ্কর। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও হালখাতার আয়োজন করেছেন। সব মিলিয়ে এবার হালখাতা তেমন একটা জমে ওঠেনি।

সর্বশেষ খবর