সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার স্লুইস গেট খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ভেঙে পড়ে রয়েছে। এতে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ২০১৫ সালে সেতুটি নির্মাণের দু-তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বর্ষায় খালের তীব্র স্রোতে দুই পাড়ের বাড়িঘর ও কৃষিজমি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সেতুটি এলাকাবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। সেতুটি খালের মাঝে হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকায় নৌযান পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের খাল পারাপারে জনপ্রতিনিধি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। খালপাড়ের বাসিন্দা শাহ আলম আখন্দ বলেন, ‘সেতুটি সাত বছর আগে নির্মিত হলেও চার-পাঁচ বছর ধরে ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে আছে। ফলে ভাঙা সেতুর গাইডওয়ালে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের বাড়ির ভিটি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এমনকি ভাঙনের ভয়ে আমরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না। যে কোনো সময় আমাদের বাড়িটি পানির স্রোতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকি। তাই ভাঙা সেতুটি দ্রুত অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী বলেন, ‘উপজেলা থেকে সেতুটি অপসারণের জন্য অকশন করা হয়েছে। ঠিকাদার কর্তৃক অকশন নিলেও সেতুটি অপসারণের উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে অকশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। সেতুটি কেন অপসারণ করা হয়নি, সেজন্য সদর উপজেলা পিআইওকে বারবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।’ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালে যোগদানের আগেই সেতুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয়েছিল। তখন উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম নিজেই সেতুর কাজটি তদারকি করেছেন।