শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

যমুনার ভাঙনের মুখে স্কুলভবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

যমুনার ভাঙনের মুখে স্কুলভবন

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি যমুনায় বিলীন হয়েছে। সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় গত বুধবার থেকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ভবন রক্ষায় নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। জানা যায়, প্রতি বছর নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত ঘরবাড়ি যমুনার গর্ভে চলে যায়। তিনটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইস্কা মাইঝাইল, খাস ঘুনিপাড়া, চর সলিমাবাদ, ভুতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানী, মারমা, উলাডাব এবং দপ্তিয়র ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর, কাটি নিশ্চিতপুর ও বাক কাটারি। কয়েক বছরে এসব এলাকার সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যমুনা বিলীন হয়েছে। ৭ জুন বিকালে সলিবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন স্কুলের অর্ধেক ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া নতুন ভবনে ভাঙন শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, আমাদের এলাকায় ভাঙনরোধে শুকনো মৌসুমে যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) টেকসই বাঁধ করত তাহলে শত শত মানুষের উপকার হতো। এ ছাড়া আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্কুলটি ক্ষতির মুখে পড়ত না। জিও ব্যাগ ফেলা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য বেড়িবাঁধ দেওয়ার দাবি জানান তারা। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং এমপি টিটু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিক উপমন্ত্রী দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ভাঙনরোধে গত বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পাশের এলাকায় সিরাজগঞ্জ পাউবোর অধীনে প্রকল্প চলমান আছে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর