শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা পাচারের রুট মৌলভীবাজার সীমান্ত!

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

রোহিঙ্গা পাচারের রুট মৌলভীবাজার সীমান্ত!

বিজিবির হাতে আটক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ

ভারতে রোহিঙ্গা পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে মৌলভীবাজার সীমান্তকে বেছে নিয়েছে মানবপাচারকারীরা। প্রায় এ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভারতে পাচার করা হচ্ছে। সীমান্ত পার হতে গিয়ে অনেকে ধরা পড়ছে পুলিশ ও বিজিবির হাতে। আবার ওপারে বিএসএফের হাতে আটক হচ্ছেন কেউ কেউ। দুই বছরে পাচারকালে মৌলভীবাজারে ১০০ জন রোহিঙ্গা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। তবে পাচারে জড়িত কেউ আটক হয়নি। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলাগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা পাচারে গড়ে উঠেছে আন্তজেলা মানবপাচার চক্র। এ চক্রে রয়েছে রোহিঙ্গা ও বাঙালি। তাদের যোগাযোগ রয়েছে ভারতের দালালদের সঙ্গেও। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার জানান, চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। গত বছর দুজন বাঙালির নাম পুলিশ পেয়েছিল। এখন তারা নিরুদ্দেশ। জানা যায়, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা কাটা তাঁরের বেড়া কেটে রাতের আঁধারে বের হয়। পরে তারা বাসে মৌলভীবাজার আসে। গাড়ি থেকে নামার পর এখানকার দালালরা সীমান্তে নিয়ে যায়। এর আগে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও কাপড়ের ব্যাগ দালালরা তাদের কাছে নিয়ে নেয়। সীমান্তে নিয়ে লুকিয়ে রাখে কোনো বাড়িতে। রাতে পার করে দেয়। এপারের দালালরা রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করে দিলে ওপারের দালালরা তাদের গন্তব্যে নিয়ে যায়। অনেক সময় ভারত সীমান্তে গিয়ে ধরা পড়া রোহিঙ্গাদের আবার বাংলাদেশে পুশব্যাক করে বিএসএফ। একজন রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পার করে দিতে দালালরা নেয় ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ভারতে পাচার করা হয় ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ঘেঁষা মৌলভীবাজার। এ জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলায় রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত। কক্সবাজারের উখিয়ার ১৪ ও ১৬ নম্বর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই সোহেল আহমদ বলেন, রোহিঙ্গারা রাতে ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে যায়। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ এসেছে আমার কাছে। আমি অভিযোগকারীদের থানায় মামলা করতে বলেছি। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, রোহিঙ্গারা মৌলভীবাজারে আসার পেছনে একটি চক্র জড়িত রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর