কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ৯৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয়। বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপনকে ৩ ও বসুরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেলকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার, বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল ও সদস্যসচিব জায়দুর রহমান রাজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হাসনা মওদুদ ও শিল্পপতি ফখরুল ইসলাম গ্রুপ বিভক্ত হয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য কিছুদিন ধরে দফায় দফায় মারামারিতে লিপ্ত হয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেন বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বসুরহাট বাজারে যান। পথে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তার ওপর হামলা চালান। তারা লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আলমগীরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেল ফাটিয়ে চলে যান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনি জানান, বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ঘটে। এর জেরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের ওপর বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। বিএনপি নেতা-কর্মীরাই তাদের নেতাদের ওপর হামলা চালান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে হাসপাতাল গেট এবং থানার সামনের সড়ক ও কলেজ গেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।