রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

জি-৩ রুই মাছ চাষে ব্যাপক সাড়া

নওগাঁ প্রতিনিধি

জি-৩ রুই মাছ চাষে ব্যাপক সাড়া

বাংলাদেশে রুইমাছের তৃতীয় প্রজন্ম সংক্ষেপে জি-৩ নামে নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ। এ রুই প্রচলিত জাতের চেয়ে ৩৭ শতাংশ দ্রুত বাড়ে। এই মাছের নেতিবাচক কোনো দিক নেই। রুইমাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য বিখ্যাত হালদা, পদ্মা ও যমুনা নদী। এসব নদী থেকে সংগ্রহ করা রুইমাছের ডিমের জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত জাত উদ্ভাবনে ওয়ার্ল্ডফিশ প্রক্রিয়া শুরু করে ২০১২ সালে। পরে খুলনা বিভাগের ১০টি ও রাজশাহী বিভাগের ৯টি খামারে পরীক্ষামূলকভাবে জি-৩ জাতের রুইমাছের রেণু ছাড়া হয়। জি-৩ রুই হাইব্রিড জাতের নয়। সম্পূর্ণ দেশি। এ জাতের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ রুইমাছের চেয়ে অনেক বেশি। এটি প্রতিকূল পরিবেশেও ভালো বাড়ে। সাধারণ রুই যেখানে বছরে এক থেকে দেড় কেজি হয় সেখানে জি-৩ রুই আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামের মাছচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে বিভিন্ন মাছের রেণু পোনা চাষ করে আসছি। ২০২৩ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী থেকে জি-৩ জাতের রুইমাছের রেণু মাত্র তিন কেজি সরবরাহ করেন। ওই রেণু থেকে প্রায় ৩ লাখ পোনা হয়েছে। খরচ হয়েছে মাত্র ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বিক্রি হবে আড়াই থেকে ৩ লাখ। জীবনে এমন বেশি বর্ধনশীল মাছ কখনো দেখিনি। সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বায়েজিদ আলম বলেন, জি-৩ রুইমাছ চাষি পর্যায়ে সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। অধিক বর্ধনশীল ও লাভজনক হওয়ায় কৃষক পর্যায়ে বেশ সাড়া ফেলেছে রুই মাছের এ জাত।

সর্বশেষ খবর