রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাড়াই বন্ধ, পড়ে আছে কোটি টাকার বর্জ্য শোধনাগার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মাড়াই বন্ধ, পড়ে আছে কোটি টাকার বর্জ্য শোধনাগার

সেতাবগঞ্জ চিনিকলের বর্জ্য শোধনাগার

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলে বর্জ্য শোধানাগার পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও কাজে আসছে না বর্জ্য শোধনাগারটি। এক সময় সেতাবগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও মেশিনের শব্দে কর্মচঞ্চল থাকত। চিনিকলটি ৩৮ বছর চালু থাকার পর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে এক সময়ের কর্মচঞ্চল চিনিকলটিতে ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। জানা যায়, সেতাবগঞ্জসহ দেশের ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধানাগার (ইটিপি) স্থাপনের উদ্যোগ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের বাস্তবায়নাধীন এবং বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) অর্থায়নে শোধনাগারের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া সময়ের অতিরিক্ত ৩ বছর পার হলেও সেতাবঞ্জ চিনিকলের শোধনাগারটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। শোধনাগার প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিটি ৮ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সেই হিসেবে বন্ধ ছয়টি চিনিকলের বর্জ্য শোধানাগার নির্মাণে মোট খরচ ৪৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার। অনেকে বলছেন, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের কর্মজীবনের শেষ সম্বল গ্র্যাচুয়িটির টাকা পাচ্ছে না। পাওনা আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন। সেখানে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) এখন সৌর্ন্দযবর্ধক স্থাপনামাত্র।

যা কোনো কাজেই আসছে না। সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন কবীর জানান, বর্জ্য শোধানাগারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বি এম ওয়াটার কোম্পানি লি. আমাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করেনি। চিনিকলে উৎপাদন চালু থাকলে শোধানাগারটি ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যেত। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কোনো এক দিন সেতাবগঞ্জ চিনিকল আবার উৎপাদনে ফেরবে এবং বর্জ্য শোধানাগারটি চালু হবে।

সর্বশেষ খবর