গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে উভয় পক্ষ গতকাল সন্ধ্যায় পৃথক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আলেয়া বেগম, আনোয়ার হোসেন, অপু আহমেদ, মামুন ভূইয়া, মো. আকাশ, নওশাদ হোসেন, আদম আলী, লিয়াকত হোসেন, সাব্বির হোসেন ও কবির হোসেন। এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা  নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল কিছুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কালিয়াকৈর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকায় উঠান বৈঠক করেন। এরপর গতকাল বিকালে উপজেলার পূর্বচান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় ঈদগাঁ মাঠে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই উঠান বৈঠকে যোগ দিতে যান। ওই মাঠে তালা ঝুলানো থাকায় রাসেলের নেতা-কর্মীরা সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের লোকজন সেখানে পৌঁছলে দুই গ্রুপের মধ্যে বাগবিত ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের নেতা-কর্মীরা কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতা-কর্মীরা পূর্বচান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকাে র প্রচার করছি। তারপরও কেন আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সেটি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। নিশ্চিয় তাদের পেছনে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে জানতে পেরেছি তিনি স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের না জানিয়ে বৈঠক করতে যাওয়ায় নেতাদের সঙ্গে বাগবিত া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার (ওসি) আকবর আলী খান জানান, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।