সুনামগঞ্জের দিরাই মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলে ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় নদীতে বালু তুলতে গিয়ে দুই বারকি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল ভোররাতে দিরাই উপজেলার ছায়ার হাওরে মাছ ধরতে যান উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আবদুল মালেক। এ সময় প্রচ- ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে সকাল ১০টার দিকে ধোপাজান নদীর ডলুরা এলাকায় বালু তুলছিলেন দুই বারকি শ্রমিক। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন সেলিম মিয়া (২৭) ও জয়নাল মিয়া (৩৫)।
এদিকে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বজ্রপাতে রনি (২৬) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুনট-মোসলেমগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কালাই থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রনি কালাই উপজেলার গোপীনাথপুর (আপলাপাড়া) গ্রামের ধলু মিয়ার ছেলে বলে। ওসি জানান, রনি পুনট বাজারে ভুষি মালের দোকানে কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে কাজ শেষে বৃষ্টির মধ্যে বাইসাইকেলে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। মোসলেমগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে পেঁৗঁছলে বজ্রঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে নওগাঁয় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলায় বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- পত্নীতলা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলাম (৪০) ও মোতাহার হোসেন (৩২), ছোট মহারন্দীর মাসুদ হোসেন (২৫) এবং পোরশা উপজেলার সোহাতী গ্রামের আজিজুল হক (৬৫)। পত্নীতলা থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, নিহতরা পৃথক স্থানে মাঠে কাজ করছিলেন। বিকালে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তাদের মৃত্যু হয়।
পোরশা থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, বাড়ির পাশে মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়েছিলেন আজিজুল হক। বিকালে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।