সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নরসিংদীতে রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাবোতে হারুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শামিমা পারভিন এ রায় প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হাবিবুর রহমান, সালাউদ্দিন, রাসেল মিয়া, সেলাম মিয়া ও জুয়েল। এদের মধ্যে  রাসেল মিয়া ও সেলাম মিয়া পলাতক রয়েছে। বাকি তিনজন কারাগারে রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বেলাবো গ্রামের সিএনজি চালক হারুনুর রশিদ ২০১৩ সালের ২৮ জুন সন্ধ্যায় সিএনজি-অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এক দিন পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাবো চুনাখালি ব্রিজসংলগ্ন হোসেন আলীর বেগুন খেতের পাশের একটি ডোবার মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হারুনের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. আরিফুজ্জামান শামীম বাদী হয়ে বেলাবো থানায় হত্যা মামলা করেন।

সিএনজি চুরির সূত্রধরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্তে অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যাকান্ডে র সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাবিব, সালাউদ্দিন, রাসেল মিয়া, সেলাম মিয়া ও জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদ  প্রদান করেন। এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সেলাম মিয়া পলাতক রয়েছে। বাকি তিনজন কারাগারে রয়েছেন। মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নরসিংদী আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এন অলিউল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জামান। বাদী পক্ষের আইনজীবী অলিউল্লাহ বলেন, যাত্রীবেশি পাঁ৬চ ছিনতাইকারী বেলাবো যাওয়ার জন্য হারুনুর রশিদের সিএনজিতে ওঠেন। তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে হাত-পা বেঁধে একটি ডোবার মধ্যে লাশ ফেলে দিয়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

সর্বশেষ খবর