সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক দিনে হিলি বন্দরে ২ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানি

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। শনিবার এক দিনেই বন্দর দিয়ে ৬৩টি ট্রাকে ১ হাজার ৯০২ টন পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে দেশের বাজারে পণ্যটির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। পিঁয়াজের দাম এমন কমতে থাকায় খুশি বন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পিঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়তি থাকায় দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের পিঁয়াজ বর্তমানে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা গত বৃহস্পতিবার বন্দরে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া নাসিক জাতের পিঁয়াজ ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা বৃহস্পতিবার ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। হিলি স্থলবন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা আইনাল হোসেন বলেন, বর্তমানে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এতে দিন দিন পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার আমরা বন্দর থেকে যে পিঁয়াজ প্রকারভেদে ২৭ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে মোকামে পাঠিয়েছিলাম। সেই পিঁয়াজ গতকাল আরও কমে ২৫ টাকা থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে মোকামে পাঠিয়েছি। পিঁয়াজের দাম কম থাকায় পুঁজি কম লাগায় আমাদের কিনতে সুবিধা হচ্ছে তেমনি পাঠাতেও সুবিধা হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, ৫ জুন পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়ার দিন থেকেই বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ।

 এ সময়ে দেশের বাজারে পিঁয়াজের বাড়তি চাহিদা থাকে সেই কথা মাথায় রেখে পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। ব্যাংকগুলো চাহিদা মাফিক পিঁয়াজের এলসি দেওয়ায় বন্দরের ছোট বড় সবধরনের আমদানিকারকরা পিঁয়াজের এলসি খুলে পিঁয়াজ আমদানি করছেন। এতে হিলিস্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। শুক্রবার ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে পিঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল যার কারণে শনিবার এক দিনেই প্রচুর পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পিঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। পিঁয়াজ আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পিঁয়াজের দাম বাড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ৫ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আজও বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। তবে বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণটা দিন দিন বাড়ছে। শনিবার বন্দর দিয়ে এক দিনেই ৬৩টি ট্রাকে ১ হাজার ৯০২ টন পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পিঁয়াজ যেহেতেু কাঁচা ও পচনশীল পণ্য গরমে অতিদ্রুত পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে কাস্টমসের পরিক্ষণ শুল্কায়ন আউটাপাস শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা পিঁয়াজগুলো ছাড়করণ নিতে পারে সে লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময় এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে থাকে।

সর্বশেষ খবর