বগুড়ায় সাহিদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে উলঙ্গ করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখল রেলওয়ের দুই কর্মচারী। খবর পেয়ে রেল পুলিশ শ্রমিক সাহিদুলকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রেল পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক রেল কর্মচারিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আবদুল জোহা খানকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আটক জোহা বগুড়ার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) অফিসের রেস্ট হাউস বেয়ারার। এ ঘটনায় জোহার সহযোগী ফিটার হেলপার আবিদ হাসান পিন্টু পলাতক রয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।

নির্যাতনের শিকার সাহিদুল ইসলাম জানান, তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নারিকেলবাড়ী এলাকায়। কুড়িগ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে বগুড়া স্টেশনে আসে সাহিদুল। স্টেশনেই থাকতেন। এক দিন বগুড়া ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) অফিসের রেস্ট হাউস বেয়ারার আবদুল জোহা খান তাকে রেল স্টেশনে শরবতের দোকান দিয়ে কাজ দেন। শরবতের দোকানের একটি আয় জোহা নিতেন। কিন্তু শরবত কেনাবেচা ভালো হতো না বলে তা ছেড়ে দেন এবং ব্যবসার সব হিসাব জোহাকে বুঝিয়ে দেন। সাহিদুল পরে একটি চায়ের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। গত শনিবার দুপুরে রেল স্টেশন এলাকায় একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে জোহা এবং জোহার সহযোগী রেলের ফিটার হেলপার আবিদ হাসান পিন্টু দুজন মিলে তাকে ধরে নিয়ে যান। একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের পাশে ব্যবসায় লোকসানের কথা বলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোহা এবং পিন্টু দুজন মিলে তাকে বেধরক মারধর করেন এবং পরে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে উলঙ্গ করে বেঁধে রাখেন। পরে খবর পেয়ে রেল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গতকাল দুপুরে বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জোহাকে শনিবার বিকালে আটক করা হয়েছে। তবে অপর সহযোগী পিন্টু পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রেলের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, এ বিষয়ে লিখিত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। থানা পুলিশ বা রেল পুলিশ এ বিষয়ে অবহিত করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং সে অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।