সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আধুনিক মেশিনে আউশ রোপণ

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তিবীজআলু উৎপাদন খামারে মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে চলতি উৎপাদন মৌসুমে ২৫৫ একর আউশ ধানবীজ উৎপাদনের জন্য চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খামারে ধান রোপণের কাজ চলছে। চলতি মৌসুমে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে রোপণের কাজ চলছে। কৃষি শ্রমিক মোতালেব হোসেন বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে খুব সহজেই কাজ করতে পারছি। এতে কষ্ট যেমন কমেছে তেমনি রোপণ কার্যক্রমের সময়ও কম লাগছে। যান্ত্রিক উপায়ে কাজ করার ফলে চলতি মৌসুমে রোপণ করতে আমাদের কষ্ট অনেকটা কম হচ্ছে।

ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব মিয়া বলেন, এবার ২৫৫ একর জমিতে আউশ এবং ৮০ একর জমিতে আমন ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি এবার ফলন ভালো হবে। ২৫৫ একর জমিতে যে আউশ ধানবীজ লাগানো হবে তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০০ টনের মতো, যা দিয়ে পরবর্তীতে ৪০ হাজার একর জমিতে আউশ আবাদ করা যাবে। অন্যদিকে ৮০ একর জমিতে যে আমন ধানবীজ লাগানো হচ্ছে তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০৫ মেট্রিক টন। সেই বীজ দিয়ে পরবর্তীতে ১০ হাজার ৫০০ একর জমিতে বীজধান চাষ করা সম্ভব। আধুনিক যান্ত্রিক উপায়ে জমিতে ধান রোপণ করা হচ্ছে ও যান্ত্রিক উপায়ে কর্তন করা হবে। খামারের এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সব জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতেও কাজ চলছে খামারে। খামারে ১৮ একর জমি বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে উৎপাদন বেড়ে যাবে। ১২০ দিনের মধ্যে এসব ধান কর্তন করা যাবে। বিগত বছরগুলোতে আলুবীজ উৎপাদনের পর জমিগুলো পড়ে থাকত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি থাকবে না, সে লক্ষ্যে জমি আউশ চাষাবাদ উপযোগী করে তোলা হয়েছে। এর আগে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আলুবীজ উৎপাদন করে খামারের সুনাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপ-পরিচালক আবু তালেব। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ ভাগ বেশি ফলন হবে। প্রতিটি জমিকে ফসলের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর