শিরোনাম
সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সৈয়দপুরে চাহিদার চেয়ে ১০ হাজার গবাদিপশু উদ্বৃত্ত

সৈয়দপুর প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন ও শহর এলাকায় ২৯ হাজার ২০৩টি পশু কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১৮ হাজার ৬৯২টি। এদিকে গো-খাদ্যের মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে পশুর প্রত্যাশিত দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এতে পশু পালনে অতিরিক্ত খরচ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় পশুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে সংকটে পড়বেন মধ্যবিত্ত কোরবানিদাতারা। ফলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৯২টি পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য ২৯ হাজার ২০৩টি গরু-ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু উঠতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা প্রত্যাশিত দামে বিক্রিও করছেন পশু। হাটের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ দফতরের উদ্যোগে অনলাইন প্ল্যাটফরমে গরু-ছাগল বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খামারি ও গৃহস্থদের অনলাইনে পশু বিক্রি করতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অনেক কোরবানিদাতা গরু-ছাগল দামদর করে বুকিংও দিচ্ছেন। কোরবানির সময় ঘনিয়ে এলে হাটে এবং অনলাইন প্ল্যাটফরমে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছেন পশু বিক্রেতারা। স্থানীয় খামারিরা জানান, কোরবানির সময় ভারতীয় বা মিয়ানমারের গরু আমদানি বন্ধ থাকলে ভালো দামে পশু বিক্রি করতে পারবেন তারা। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে পশু পালনে খরচ বাড়লেও দাম সামর্থ্যরে মধ্যেই থাকবে। ইতোমধ্যে হাটে ও খামারে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীরা গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে খরচ উঠে লাভ ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার ইউসুফ ডেইরি ফার্মের খামারি রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু বলেন, তার খামারে মাঝারি ও বড় সাইজের ৮০টি গরু রয়েছে। সব গরুই দেশি খাবারে মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে গত বছরের তুলনায় গরুপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে তার ৭০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে, বাকিগুলোর দরদাম চলছে। তার মতে, ভারতীয় গরু আমদানি না হলে ছোট-বড় সব খামারি ভালো দাম পাবেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত করেছেন ছোট-বড় খামারিরা। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায়ও যাচ্ছে গরু-ছাগল। পশু সম্পদ বিভাগ অনলাইন ও অফলাইনে পশু বাজারজাত করতে খামারিদের সহায়তা দিচ্ছে। যাতে খামারিরা লাভবান হয়ে পশু পালনে আরও উৎসাহী হন।

সর্বশেষ খবর