মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই উন্নয়ন কাজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই উন্নয়ন কাজ

নাসিরনগরের চিতনা-রসুলপুর সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝখানে রেখেই কাজ চলায় এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। কাজ পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি মাঝখানে পড়েছে। চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছুদূর যেতেই আরও কয়েকটি খুঁটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে কয়েকটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হবে। নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা আমাদের এ বিষয়ে কিছু বলেনি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কি না আমার জানা নেই। তবে বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নিজ খরচে সরাতে হবে। নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যেসব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে সবগুলো সরিয়ে কার্পেটিং করা হবে।

সর্বশেষ খবর