মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বগুড়ায় জমে উঠছে কোরবানির হাট

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় জমে উঠছে কোরবানির হাট

হাটে তোলার জন্য খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে গরু

বগুড়ায় কোরবানির হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন হাটে প্রচুর পশু দেখা গেলেও ক্রেতা কম। হাটে গরু ও ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে গতবারের চেয়ে বেশি। খামারি ও ব্যাপারীরা বলছেন, গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় পশুর দাম কিছুটা বাড়তি। হাটের পাশাপাশি বগুড়ায় অনলাইনেও পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলায় চাহিদার তুলনায় ২২ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বগুড়ার মহাস্থানগড় গরুর হাট। এ হাটের পাশাপাশি জেলার ঘোড়াধাপ, সুলতানগঞ্জ, শেরপুর, সাবগ্রাম, পেরী হাট, নামুজাসহ শতাধিক স্থানে হাট বসে। এসব হাটে স্থানীয়ভাবে যেমন কোরবানির পশু কেনাবেচা হয়, তেমনি অন্য জেলার জন্যও বিকিকিনি হয় গরু-ছাগল। বগুড়ার হাটগুলো কেন্দ্র করে মৌসুমি গরুর ব্যাপারীদের আনাগোনা বেড়েছে। গত বছর বগুড়া থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরের ব্যবসায়ীদের গরু কিনতে দেখা গেছে। এখান থেকে গরু কিনে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জে বিক্রি করে থাকেন তারা। খামারি রফিকুল ইসলাম রাকিব জানান, খামারে গরু লালন-পালন করে এখন আর বেশি লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। এ বছর একটি মাঝারি সাইজের গরু বগুড়ায় কিনতে দাম পড়বে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সদর উপজেলার খামারিরা জানান, কয়েক বছর ভারতীয় গরু কম সরবরাহের কারণে জেলায় দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে যায়। খাবারের দাম বাড়ায় এবার গরুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় দুই-এক দিনের মধ্যে পশুর হাট পুরোপুরি জমে উঠবে। চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে উদ্ধৃত্ত রয়েছে ২২ হাজার ১৩৭টি। বগুড়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম জানান, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করে দেশি খাবার খাইয়ে চলতি বছর জেলায় পশু মোটাতাজা করার জন্য কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু লালন-পালন হয়। বাড়তি পশু বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। সবচেয়ে বেশি যায় ঢাকায়। সদর উপজেলার বগুড়া ভান্ডার এগ্রো খামারের পরিচালক তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব জানান, গত বছর একটি গরুর পেছনে প্রতি মাসে খাবার বাবদ ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর সেখানে ডাবল খরচ হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর