মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

খামারে ৭৩ হাজার গবাদিপশু বিক্রির অপেক্ষায়

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

এবারও  লাভের আশায় মানিকগঞ্জের খামারিরা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অধিক হারে গবাদি পশু পালন করছেন। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার খামারির সংখ্যা বেড়েছে। এবার ১০ হাজার খামারি প্রায় ৭৩ হাজার গবাদি পশু কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন। জেলায় চাহিদা রয়েছে মাত্র ৩২ হাজার। জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। এসব পশু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে সাধারণ খাবার খাইয়ে লালনপালন করা হয়। এবারও জেলার হরিরামপুর উপজেলার পিপুলিয়ার মোসলেম উদ্দিন খানের খামারে ২০টি বৃহদাকারের ষাঁড় প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি বছরই কোরবানি উপলক্ষে তিনি গরু পালন করে থাকেন। এসব পশু ঘরের মধ্যে অল্প আলোতে পালন করা হয়। এদের  কুঁড়া, ভুসি, খেসারি, ভুট্টা ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়। সদর উপজেলার সেবা ডেইরি ফার্মেও প্রায় ৪০টি ষাঁড় ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছিল। জেলায় চাহিদার তুলনায় গরু বেশি হওয়ায় মালিক কয়েক দিন আগেই গরুগুলো বিক্রি করে দেন। সেবা ডেইরি ফার্মের মালিক এস এম রুবেল খান বলেন, গরু পালন আমার বাপ-দাদার পেশা। ফার্মের দায়িত্ব এখন আমি পালন করছি। আমার ফার্মে সব সময় শতাধিক গরু থাকে। তার মধ্যে গাভিও আছে। এবার জেলায় প্রচুর গরু পালন করা হয়েছে। তাই আগেই আমি অনেক ষাঁড় বিক্রি করে দিয়েছি। এবারও  ভালো দাম পাওয়া গেছে। এখনো প্রতিদিন ক্রেতারা আসছেন দরদাম করছেন। তবে গরু সাধারণত ঈদের দুই এক দিন আগে বিক্রি হয়। তিনি আরও বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, টাকা-পয়সা নিয়ে ঝুঁকি থাকার কারণে লোকজন এখন খামার থেকেই গরু কিনতে বেশি পছন্দ করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, জেলায় চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণের বেশি পশু রয়েছে। ১০ হাজার খামারে প্রায় ৭৩ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় চাহিদা রয়েছে মাত্র ৩২ হাজার পশু। অতিরিক্ত পশু বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, অতিরিক্ত পশু থাকার কারণে এবার খামারিরা লোকসানে পড়তে পারেন।  

 

 

সর্বশেষ খবর