মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌর এলাকায় দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে চার গ্রামের নারী-পুরুষ। গতকাল বিকালে ষোলপাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ওই চক্রের বিরুদ্ধে ষোলপাড়া, ভট্টপুর, লাহাপাড়া ও গাবতলী গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মুজিবুর রহমান, সানাউল্লাহ, মোমেলা বেগম, আবদুল আজিজ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তরা জানান, উপজেলার ষোলপাড়া এলাকায় একটি জমি নিয়ে মুজিবুর রহমান ও আক্তার হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গত ৭ মে দুপুরে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে হাতকোপা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ভাড়াটিয়া মোক্তার হোসেন মোক্তাদির নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মো. দেলোয়ার হোসেন, জীবন আহমেদ, নাজমুল হোসেন জয়, জান্নাত জাহাসহ পাঁচ-সাতজনের একটি দল নিজেদের দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখায়। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করে। এ সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে কিন-চারজন আহত হয়। মানববন্ধনে মুজিবুর রহমান দাবি করেন, জমি ক্রয় করে আমি ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে ভোগদখলে রয়েছি। সম্প্রতি ভট্টপুর এলাকার আক্তার হোসেন নামের একজন এ জমি দাবি করে। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে বলতে তারা দেখাতে পারেনি। গত মাসের ৭ তারিখে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে মোক্তার হোসেন মোক্তাদিরসহ পাঁচ-সাতজনের একটি দল গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে নিজেদের ডিবি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তাদের ব্যক্তিগত অফিসে দেখা করার কথা বলে নিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় একটি খাতায় আমাদের স্বাক্ষর রেখে দেয়। সানাউল্লাহ নামের একজন জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় দুদক, ডিবি ও মানবধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের চাঁদাবাজিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাই। মানববন্ধনে আবদুল আজিজ বলেন, চাঁদাবাজরা সবাই বহিরাগত। কেউ সোনারগাঁর নাগরিক নয়। তারা সোনারগাঁয় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে অফিস নিয়ে অপকর্ম করে বেড়ায়। এদের মধ্যে তিনজন আপন ভাই-বোন। অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মোক্তাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়। আমরা দুদক ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দিইনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের গায়ে প্রেস জ্যাকেট ছিল।

 

 

 

সর্বশেষ খবর