বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতাবগঞ্জ রেলস্টেশনে চাহিদার তুলনায় আসন বরাদ্দ কম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

খাদ্যভান্ডার বলে খ্যাত দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের সেতাবগঞ্জ রেলস্টেশনে চাহিদার তুলনায় ট্রেনে আসন বরাদ্দ কম। এতে ভুক্তভোগী রেলযাত্রীদের অধিক মূল্য দিয়ে অনলাইন কিংবা দালালের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করে রেলভ্রমণ করছে বলে জানায় কয়েকজন। সেতাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট স্বল্পতা। পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা সকালে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মাত্র পাঁচটি। রাতে একতা ট্রেনের টিকিট সংখ্যা ১০টি এবং দুপুরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস সেতাবগঞ্জ রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে যাতায়াত করলেও কোনো যাত্রা বিরতিই নেই। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতাবগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি করলে সেতাবগঞ্জের যাত্রীদের কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে বলে রেলযাত্রীরা জানায়। এখানে জন্ম নিয়েছেন হাজি মোহাম্মাদ দানেশ, সাবেক মন্ত্রী আবদুর রৌফ চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপিসহ অনেক গুণীজনের জন্ম এ বোচাগঞ্জে।

এখানে রয়েছে সেতাবগঞ্জ চিনিকল, ৩৫টি অটোরাইস মিল, একটি জুট মিল, কয়েক শ হাসকিং মিল, ফিড মিল, অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জনসংখা প্রায় ২ লাখ। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে বাস, কোচ ও ট্রেন ব্যবস্থা আছে। অথচ চাহিদার তুলনায় টিকিট বরাদ্দ অনেক কম। প্রতি ঈদে বিশেষ দুটি ট্রেন ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচল করলেও সেতাবগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এসব ট্রেন থামে না। ফলে ঈদে বাড়ি ফেরা স্বল্প আয়ের মানুষ এ বিশেষ যাত্রীসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেতাবগঞ্জ রেল স্টেশন মাস্টার মো. মুক্তার হোসেন জানান, সকালে ৩০টি ও রাতে ৫০ টিকিট সরবরাহ করলেই টিকিট প্রত্যাশিদের চাপ কমবে এবং দুপুরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এখানে যাত্রা বিরতি করলে রেলে ভ্রমণনকারী মানুষরা উপকৃত হবেন। পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবি র্দীঘ দিনের।

সর্বশেষ খবর