বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

বেহাল সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা

সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের দেবে যাওয়া অংশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। খুলনার সঙ্গে সরাসরি সাতক্ষীরা জেলা শহরের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সড়ক। ৫৮ কিলোমিটার সড়কের শতাধিক স্থান দেবে ও উঁচু-নিচু হয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

সাতক্ষীরা থেকে খুলনা জেলার আঠারো মাইল পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে শহরের তালতলা মোড়-পাটকেলঘাটার মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটারের ২০টি পয়েন্টে দেবে ও উঁচু নিচু হয়ে  গেছে। কোথাও ৫ -৬ ইঞ্চি আবার কোথাও এক ফুট পর্যন্ত রাস্তার লেভেল থেকে উচু হয়ে রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা বিসিক শিল্পনগর মোড়,  বিনেরপোতা, ত্রিশমাইল, নগরঘাটা পাম্প, আশারনগর, মিঠাবাড়ি, পাটকেলঘাটা কলেজ মোড় ও পাম্প সংলগ্ন এলাকা। সড়টির বেহাল অবস্থার কারণে গত মাসে এই সড়কে পৃথক স্থানে মোটরসাইকেল-ট্রাকের, বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষ এবং শ্রমিকবাহী ট্রাক উল্টে খাদে পড়াসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এ সব দুর্ঘটনায় দুজন ইটভাটা শ্রমিকসহ আটজন নিহত ও আহত হয়েছে ২০-২৫ জন। সবশেষ গত ২১ মে বিনেরপোতা এলাকায় রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেল রাস্তার এক ফুট উঁচু বিটুমিনের ঢিবির ওপর উঠে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্র্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় মারা যান এসএসসি পরিক্ষার্থী আকাশ হোসেন ও অংকুশ। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি সাতক্ষীরা-শ্যামনগর পর্যন্ত ঢাকার পরিবহন চলাচল করে। দ্রুত গতিসম্পন্ন পরিবহন ও বাস-ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে ছোট যানবাহন প্রায়ই উল্টে যাচ্ছ। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে রাস্তা করায় এ বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, এখনই সড়কের খারাপ স্থানগুলো সংস্কার করা না হলে বর্ষ মৌসুমে আরও বেশি দুর্ঘটনার শিকার হবে যানবাহন ও পথচারীরা। সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী-প্রকৌশলী রাশিদুর রেজা জানান, সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ৫৮ কিলোমিটার সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খুলনা অংশের। অতিরিক্ত তাপে আঠারমাইল থেকে খুলনা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা ফুলে ফেপে অসংখ্য স্থানে উঁচু ও নিচু হয়ে আছে। এই মুহূর্তে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। তবে সাতক্ষীরা শহর থেকে আঠারোমাইল পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে যেখানে রাস্তা উঁচু-নিচু হয়েছে সেখানে দুই-তিন দিনে মধ্যে গ্রেডার দিয়ে কেটে সমান করে দেওয়া হবে। তাতে কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকবে না। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম জানান, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে আপ অ্যান্ড ডাউন হয়ে গেছে। দ্রুত সংস্কার করা হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর