রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ, শরণখোলায় ক্ষোভ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ, শরণখোলায় ক্ষোভ

পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শরণখোলা রায়েন্দা বাজারে সর্বসাধারণের খাবার পানির একমাত্র সরকারি উৎস শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাগেরহাট জেলা পরিষদ। এ জন্য জেলা পরিষদ পুকুরটির দক্ষিণপাড় ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত দিয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া পত্রের অনুলিপি গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আসার পর বিষয়টি প্রকাশ পেলে শুরু তোলপাড়। সবশ্রেণি-পেশার মানুষ একজোট হয়ে পুকুর রক্ষার দাবিতে মাঠে নেমেছে। চার দিন ধরে পুকুর-জলাশয় ভরাট না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও মার্কেট নির্মাণ বন্ধে মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন করছেন স্থানীয়রা। শরণখোলা উপজেলা সদরের স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম সাগর, জিয়াউল হাসান রোকন, মিরাজ আকন জানান, চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে। সরকার পুকুর ও জলাধার রক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন করছে। অনতিবিলম্বে জেলা পরিষদের আত্মঘাতী ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত জানান, জেলা পরিষদ ইতোমধ্যে পুকুরটির পূর্ব পাশে মার্কেট নির্মাণ করে সংকুচিত করে ফেলেছে। এখন দক্ষিণ পাশে মার্কেট নির্মাণ হলে পুকুরটির অস্তিত্ব হারাবে। বাগেরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত আপত্তি দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনে ইজারা বাতিল করা হবে।

অন্যথায় আন্দোলন চলিয়ে যাওয়াসহ উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও জানান তারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন মুক্তা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুকুরটি সাধারণ মানুষের জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন। তা না করে মার্কেট নির্মাণের ইজারা দিয়েছে। জেলা পরিষদের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ পরিপন্থী। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, বাগেরহাট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা পুকুরটির দক্ষিণ পাশ ভরাট করে সমার্কেট নির্মাণের জন্য সাতজনের নামে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার একটি পত্র মঙ্গলবার হাতে পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর উপকূলে খাবার পানির জন্য সংরক্ষিত একমাত্র সরকারি পুকুরটি স্থানীয় জনসাধারণের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এই অবস্থায় স্থানীয়রা পুকুরটি রক্ষায় আন্দোলন শুরু করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর