নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বাদশাকে (২৮) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় এলাকার মৃত কামালের ছেলে। গতকাল সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার টঙ্গীরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। জানা যায়, হত্যাকান্ডের পর পলাতক বাদশা গতকাল ভোর রাতের দিকে তার মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে বাড়িতে আসে। মায়ের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে স্থানীয়রা আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বলেন, স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত বাদশাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে। উল্লেখ্য, ১০ জুন শনিবার সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীনপাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুলাল চন্দ্র দাস ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে। এর আগে রাতের কোনো একসময় পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলা কেটে হত্যা করে বাদশাসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
