শিরোনাম
সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাদক নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস সাংবাদিককে মারধর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদক সেবনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ফরহাদ হোসেন (২৪) নামের এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই সাংবাদিক হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেন। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার বড়খাতা বাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে মারধরের শিকার হন সাংবাদিক ফরহাদ। অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার বড়খাতার সেলিম সম্রাট (৩০) ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাজন (৩৮) ও একই এলাকার মাসুদ মিয়া (৩২) ও জামাল হোসেন। আহত ফরহাদ হোসেন নাগরিক ভাবনা পত্রিকায় ও রংপুর টাইমস অনলাইনের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। জানা গেছে, শনিবার উপজেলার পশ্চিম সাড়ডুবি এলাকার এক ইজিবাইক থেকে কয়েকটি ফেনসিডিলের বোতল মাটিতে পড়ে যায়।

পড়ে যাওয়া ফেনসিডিলের বোতলগুলো স্থানীয়রা তুলে নেয়।

 এ সময় পাশেই থাকা সেলিম সম্রাট সেখানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে বোতলগুলো পুলিশকে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে সে নিজেই খেয়ে ফেলে। পরে সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন এ বিষয়টি জানতে পেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এটিকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাত ১০টার দিকে সেলিম সম্রাট, সুলতান আহমেদ রাজন, মাসুদ মিয়া ও জামালসহ কয়েকজন বড়খাতা বাজারে ফরহাদ হোসেনকে আটক করে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফরহাদ হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন বলেন, সেলিম সম্রাট ফেনসিডিল নিয়ে খেয়েছে তা নিয়ে লেখালেখি করায় আমাকে আটক করে মারধর করেছে। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদকের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তিনি নিজেও একজন মাদকসেবি। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আর তার শাস্তি দাবি করছি। এদিকে ঘটনাস্থলে সেলিম সম্রাট ফেনসিডিল সেবনের প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, একটি ইজিবাইক থেকে বেশ কয়েকটি ফেনসিডিল পড়ে যায়। এ সময় স্থানীরা তা তুলে নেয়। হঠাৎ সেলিম সম্রাট নামের ওই সাংবাদিক পরিচয়দানকারী যুবক এসে স্থানীয়দের হাত থেকে বোতলগুলো নিয়ে নিজেই খেয়ে ফেলে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম সম্রাট বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকায় যাই। কিন্তু আমি কোনো ফেনসিডিল সেবন করিনি। ফরহাদ আমাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা ফেসবুকে লিখছে। আমি শুধু তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকি, তাকে কোনো মারধর করিনি। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাজন বলেন, আমি ফরহাদকে কোনো মারধর করিনি। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর