মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেসিরোডে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৮ ডাকাত গ্রেফতারের মাধ্যমে ডাকাতির তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ১৭ মে রাত ৩টা দিকে আমেরিকা প্রবাসী শাহেদ রেজা কামাল মাওয়া ঘাটে খাওয়া-ধাওয়া শেষে ফেরার পথে কেসিরোডের আন্ডারপাসের উত্তরে রাস্তার ওপর অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত দলের কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলে পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া ডাকাত দল রাস্তায় গাছ ফেলে পথরোধ করে ভোররাতে মধ্যবর্তী সময়ে ৩টি মোবাইল, ২টি আইফোন ও ১টি অপো, নগদ ৬৫ হাজার টাকা, ১টি স্বর্ণের চেইন এবং ১টি গ্রিনকার্ড লুট করে নিয়ে যায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থল, গ্লোবাল লোকেশন ট্র্যাকিং এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিবিড় অনুসন্ধান শুরু করেন।

ঘটনাস্থলের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কয়েকজন ডাকাতকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। ডাকাতদের মধ্য থেকে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও মূল পরিকল্পনাকারী কামাল পাহলান (৪৩), হানিফ রহমান (৩৫), শাহালম মুন্সী (৩১), শহিদুল ইসলাম সাইফুল (৩৩)-কে গত ১৮ জুন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৮ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করলে গত ২৫ জুন তারিখ (৫) আবুল তালেব খান (৩৬), এনামুল হক (৩৪), জাহেদুল ইসলাম সাগর (২৮). মো. আলমগীর সিপাহি (৪৫)-কে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতের মধ্যে ৪ জন পটুয়াখালী, ২ জন বরগুনা, ১ জন নোয়াখালী এবং ১ জন বরিশালের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃত কামাল পাহলানের কাছ থেকে বাদীর গ্রিনকার্ড এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, আবুল তালেব খান (৩৬)-এর হেফাজত হতে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপ, এনামুল হক (৩৪)-এর হেফাজত হতে গাছ কাটা করাত ও রামদা এবং জাহেদুল ইসলাম সাগর (২৮)-এর হেফাজত হতে একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।

সর্বশেষ খবর