শিরোনাম
বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজবাড়ীতে পদ্মার তীব্র ভাঙন

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে পদ্মার তীব্র ভাঙন

কালুখালীর হরিণাবাড়িয়া এলাকায় ভাঙনের চিত্র -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। নদীতে বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি। হুমকির মধ্যে রয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। গত তিন দিনের ভাঙনে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের এক কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। কৃষিজমি হারিয়ে কাঁদছেন পদ্মাপাড়ের মানুষ। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলছে নদীর পানি। গতকাল কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া, লস্করদিয়া, চর-রামনগর, ভবানীপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় চাপ নিয়ে নদীর পাড় ভাঙছে। কৃষকের রোপণ করা পাট, বাদাম নদীতে ভেসে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে বসতভিটা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত চার গ্রামের শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে স্রোত অন্যদিকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জানা যায়, ২০১৫ সালে রাজবাড়ী জেলায় ৩ হাজার ৫৩৪ দশমিক ১ একর জমিতে রাজবাড়ী সেনানিবাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ১২৩ দশমিক ১৪ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বন্দোবস্তকৃত বাকিটা খাস জমি। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রস্তাবিত সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। অনেক টাকা ব্যয়ে একটি ঘর, নামফলক নির্মাণ করা হয়েছিল এখানে। সেগুলো নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হরিণবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ফুলজান বেগম বলেন, পদ্মার পানি বাড়ায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সেনাবাহিনীর এলাকা ভালো থাকব কিন্তু নেই। ২০১৫ সালের পর থেকে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। নদী বাড়ির কাছে চলে এসেছে। আগে দুইবার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। এবারও আমরা সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পদ্মার চরের একজন বাসিন্দা জানান, ২০১৯ সালে কালুখালী উপজেলার প্রস্তাবিত সেনানিবাস এলাকায় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, স্থানীয় এমপি জিল্লুল হাকিমসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন নদী শাসন করা হবে। আজ পর্যন্ত ১ টাকার কাজও এখানে হয়নি। রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, আমরা ভাঙনকবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ করছি।

সর্বশেষ খবর