গাজীপুরের টঙ্গীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। গতকাল দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন হাটে ছুটছেন ক্রেতা। তবে এবার দাম বেশি বলে দাবি তাদের। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গরুর দাম হওয়ায় অনেকের কোরবানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকে ছেলে-মেয়ে কিংবা পরিবারের অনুরোধে কষ্ট হলেও গরু কিনছেন। ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা একটু বেশি। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে পশু কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়ি। টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকায় পূর্ব থানার পেছনে রয়েছে ঐহিত্যবাহী টঙ্গী পশুর হাট। এ ছাড়া গাজীপুরা এলাকায় একটি এবং টঙ্গীর গাজীপুরা সাতাইশ রাজনগর বাগানবাড়ি এলাকায় এই প্রথম বসেছে পশুর হাট। শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে এসব হাটে। যাদের পশু রাখার জায়গা নেই তারা এখনো চাঁদ রাতের অপেক্ষায় আছেন। হাটে একদিকে যেমন দর-দাম চলছে, অন্যদিকে কেনাবেচাও হচ্ছে। খামারি ও ব্যবসায়ীরা মাংসের দামের কেজি হিসেবে পশুর দাম নির্ধারণ করছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দাম হাঁকছেন। টঙ্গীর হাটে আসা ক্রেতা ডলার খান বলেন, এখানে শতকরা ৬ টাকা হাসিল নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে মানুষ অন্য হাটে চলে যাচ্ছেন। টঙ্গীর অন্যান্য হাটে হাসিল শতকরা ৪ টাকা। টঙ্গী হাটের ইজারাদার পক্ষের একজন আবদুর রশিদ বলেন, আগে থেকেই শতকরা ৬ টাকা নেওয়া হয়েছে এখন সেটাই রয়েছে। অনেকের কাছ থেকে কমও নেওয়া হয়। সোহেল রেঞ্জ এগ্রো প্লাস ফার্মের মালিক সোহেল আহম্মেদ বলেন, গরুর খাবারের দাম অনেক বেড়েছে। যে কারণে দাম তো একটু বেশি হবেই। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাটে আসা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করছে পুলিশ। হাটে পুলিশ কন্ট্রোলরুম রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।